সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত -ভাব সম্প্রসারণ(ক্লাস ৬,৭,৮,৯,১০)

 সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

ভাব সম্প্রসারণ, ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম, সম্প্রসারণ কিভাবে লিখতে হয়

মূলভাব: শিক্ষা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুশিক্ষা মানুষকে করে তোলে প্রকৃত শিক্ষিত ও মননশীল। আর সুশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজের ভূমিকাই মুখ্য।

সম্প্রসারিত ভাব: শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ডস্বরূপ। শিক্ষাই জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেয়। শিক্ষা ব্যতীত ব্যক্তি, তথা জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। শিক্ষার্থী তার মেধা আর পরিশ্রম দ্বারাই যথার্থ শিক্ষিত হতে পারে। এখানে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কেননা তিনি শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত হতে সাহায্য করেন, দিক নির্দেশনা দেন। তবে শিক্ষকের এ সাহায্য একটা পর্যায় পর্যন্ত সীমিত। এ পর্যায় অতিক্রম করার দায়িত্ব একান্তভাবেই শিক্ষার্থীর এবং সেক্ষেত্রে সফল হয়ে ওঠাই হলো সুশিক্ষিত হয়ে ওঠার নামান্তর। জন্মের পর থেকেই মানুষ তার পরিবার, পরিবেশ, আত্মীয়-পরিজন থেকে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে এবং একটা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করে সার্টিফিকেট লাভ করে। কিন্তু এই সার্টিফিকেট কিংবা পরীক্ষায় পাস করাই প্রকৃত শিক্ষা নয়। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান আহরণের পথকে অনেক সময় সুগম করে তুললেও তাতে জ্ঞানের পূর্ণতা আসে না। সত্যিকারের জ্ঞান আত্মস্থ করার জন্যে প্রয়োজন আত্মপ্রয়াস। জ্ঞান আত্মস্থ করতে হলে সাধনা করতে হয়। এজন্যে দরকার একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম। স্বীয় চেষ্টা দ্বারাই মানুষ তার বুদ্ধিবৃত্তিকে পরিচালিত করে স্বকীয়তা ও মৌলিকতার উন্মেষ ঘটিয়ে শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরে বিচরণ করতে পারে। এভাবে মানুষ হয়ে ওঠে সুশিক্ষিত।

ভাব সম্প্রসারণ, ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম, সম্প্রসারণ কিভাবে লিখতে হয়

মন্তব্য: সুশিক্ষিত ব্যক্তির মন কুসংস্কারমুক্ত ও মুক্তবুদ্ধির আলোকে উদ্ভাসিত। তিনি পরিশীলিত, রুচিবোধে নম্র ও উদার— এ সুশিক্ষা তাঁর নিজ সাধনার দ্বারা অর্জিত।