পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন -ভাব সম্প্রসারণ(ক্লাস ৬,৭,৮,৯,১০)

 



পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন,

নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।

ভাব সম্প্রসারণ, ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম, সম্প্রসারণ কিভাবে লিখতে হয়

মূলভাব :আপনার উপকার হবে ভেবে যেজন অপরের অপকারে আত্মনিয়োগ করে, পরিণামে সে নিজেই কষ্ট ভোগ করে।

সম্প্রসারিত ভাবঃ মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজে পরস্পর পরস্পরের সহযোগী হয়ে বাস করে। একে অপরের কল্যাণ সাধন করাই মানুষের মানবিক ও নৈতিক ধর্ম। সৃষ্টির অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য হলো মানুষ শুধু নিজের কথাই চিন্তা করে না, তার চারপাশের জগত নিয়েও ভেবে থাকে। যে মানুষ সর্বদা অন্যের উপকার করে বা করার কথা ভাবে এবং নিজেকে অন্যের হিতার্থে ব্যাপৃত রাখে সে সমাজে সর্বদাই সম্মানিত। অন্যদিকে মানুষযখন নিজের স্বার্থককে প্রাধান্য দেয় তখন সে অপরের ক্ষতিসাধনে তৎপর হয় এবং অন্যের ক্ষতির চিন্তায় মগ্ন থাকে। এমতাবস্থায় সে সর্বদা হীনমন্যতায় ভোগে। এতে তার চিত্তে শুদ্ধি আসে না বলে সে তার স্বীয় কর্মক্ষেত্রেও উন্নতি করতে পারে না। কেননা মানুষের স্বার্থবুদ্ধি প্রাধান্য পেলে তার পরিণতি শুভ হতে পারে না। অপরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা অন্যায় কর্ম বলে বিবেচিত হয়।

মন্তব্য:নিজের স্বার্থকে যারা বড় করে দেখে তারা সংকীর্ণমনা, অনুদার। তাদের কাজ-কর্ম শুধু অন্যের একার ক্ষতির কারণ হয় না বরং সমাজ ও জাতির পাশাপাশি নিজেরও বিরাট ক্ষতির কারণ হয়। পার্থিব কর্মের ফল মানুষ কোনো না কোনোভাবে পৃথিবীতেই পেয়ে যায়। তাই অপরের ক্ষতির চিন্তা না করে পরোপকারে আত্মনিয়োগ করাই উত্তম। অর্থাৎ পরের ক্ষতির জন্য গর্ত খুঁড়লে সে গর্তে নিজেই পতিত হয়।

পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন,

নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন। 

ভাব সম্প্রসারণ, ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম, সম্প্রসারণ কিভাবে লিখতে হয়

মূলভাব :   যে মানুষ অপরের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে, পরিণামে তাকেই ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। প্রকৃতি সমতা নিয়ন্ত্রণ করে বলেই হয়তো মানুষকে এ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়।

 সম্প্রসারিত ভাবঃ জগতের অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য এখানেই যে, সে শুধু নিজের কথা চিন্তা করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না। তাকে তার চারপাশের জগৎ নিয়েও ভাবতে হয়। যে মানুষ সবসময় অন্যের উপকারের কথা ভাবে সে সমাজে সম্মানিত হয় এবং সেই সঙ্গে তার মানসিক চিন্তারও উন্নয়ন ঘটে। অপরপক্ষে যে ব্যক্তি সবসময় অন্যের ক্ষতির চিন্তা করে সে সবসময় হীনম্মন্যতায় ভোগে। অন্যের অনিষ্ট করার চিন্তা করতে করতে তার মন ছোট হয়ে যায়। ফলে কখনও সে আর ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না। এমনকী নিজের ভালোর কথাও সে ভাবতে পারে না। খারাপ চিন্তার কারণে চিত্তে শুদ্ধি আসে না বলে আপন কর্মক্ষেত্রেও সে উন্নতি করতে পারে না। পার্থিব কর্মের ফল মানুষ কোনো না কোনোভাবে পৃথিবীতেই পেয়ে যায় বলে এ ধরনের ব্যক্তিকে নিজ জীবনেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্বের মহান ব্যক্তিরা কখনও অন্যের অনিষ্ট চিন্তা করতেন না, তারা সবসময় বৃহত্তর জনসমাজের কল্যাণের কথাই চিন্তা করতেন। ফলে আজ তাঁরা আমাদের মধ্যে অমর হয়ে আছেন। অপরপক্ষে যারা অন্যের ক্ষতি করার চিন্তা করতো তারা যেমন জীবিত থাকতেও সুখী হতে পারেনি, তেমনি মৃত্যুর পরেও ইতিহাসের পাতায় খলনায়করূপে সবার ঘৃণার পাত্র হয়ে আছে।

মন্তব্য: সবসময় অন্যের উপকারের কথাই ভাবা উচিত। এতেই মানবজীবনের প্রকৃত সুখ ও সার্থকতা নিহিত। অন্যের অনিষ্ট করার চিন্তা বাদ দিলে, নিজের অনিষ্টও জীবন থেকে বহু দূরে থাকে।

ভাব সম্প্রসারণ, ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম, সম্প্রসারণ কিভাবে লিখতে হয়


আর্টিকেলের শেষকথাঃ পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন

শিক্ষার্থীরা  আজকে আমরা জানলাম পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন ভাব সম্প্রসারণ  সম্পর্কে  । যদি আজকের এই পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন ভাব সম্প্রসারণ  টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url