আমার প্রিয় কবি - কাজী নজরুল ইসলাম প্রবন্ধ রচনা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

 আমি মনে মনে ভাবতাম আর অবাক হতাম—আমার বাবা এত সুন্দর কবিতা লেখে! তারপর যখন ভালো করে বোঝবার মতো বয়স হলো তখন জানলাম, এ কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের। এরপর একে-একে মুখস্থ করে ফেললাম ‘খুকু ও কাঠবেড়ালি’, ‘লিচু চোর' সহ আরো অনেক কবিতা। 'বীরপুরুষ', 'বাবুরাম সাপুড়ে ‘ এসব যে শিখি নি তা কিন্তু নয়। তবু অতিথি এলেই হাত নেড়ে-নেড়ে আবৃত্তি করে শোনাতাম ‘বাবুদের তাল পুকুরে/ হাবুদের ডাল কুকুরে ।' সেই থেকে আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


আমার প্রিয় কবি

 আমার প্রিয় কবি

তোমার প্রিয় কবি

ছেলেবেলার একটি মধুর স্মৃতি আজো আমাকে ভীষণভাবে দোলা দেয়। আমি ঘুমিয়ে আছি। বাবা আমার কপালে হাত বুলিয়ে আবৃত্তি করছেন :

ভোর হল, দোর খোল, খুকুমণি ওঠ রে!

 ঐ ডাকে জুঁইশাখে ফুলখুকি ছোট রে।

আমি মনে মনে ভাবতাম আর অবাক হতামআমার বাবা এত সুন্দর কবিতা লেখে! তারপর যখন ভালো করে বোঝবার মতো বয়স হলো তখন জানলাম, এ কবিতা কাজী নজরুল ইসলামেরএরপর একে-একে মুখস্থ করে ফেললাম খুকু ও কাঠবেড়ালি’, ‘লিচু চোর' সহ আরো অনেক কবিতা। 'বীরপুরুষ', 'বাবুরাম সাপুড়েএসব যে শিখি নি তা কিন্তু নয়। তবু অতিথি এলেই হাত নেড়ে-নেড়ে আবৃত্তি করে শোনাতাম বাবুদের তাল পুকুরে/ হাবুদের ডাল কুকুরে ।' সেই থেকে আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

সাহিত্য বরাবরই আমার প্রিয় বিষয়। তাই রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, সুকান্ত যতটুকু পেরেছি পড়েছি। কিন্তু একই সাথে দেশপ্রেম, শাশ্বত প্রেম, মানবতা, বিদ্রোহ আর সম্প্রীতির এমন অপূর্ব সম্মিলন আমি আর কারো লেখায় এমন করে পাইনি। আমার কাছে তাই কবি নজরুল স্বাতন্ত্র্যে সমুজ্জ্বল।

নজরুলের জন্ম বর্ধমান জেলার জামুরিয়া থানার অন্তর্গত চুরুলিয়া গ্রামে ২৪ মে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে। পিতা কাজী ফকির আহমদ এবং মা জাহেদা খাতুন তাঁদের চার পুত্রের অকাল মৃত্যুর পর নজরুলের জন্ম হওয়ায় তাঁর নাম রাখেন দুখু মিয়া'তাঁর পুরো ছেলেবেলাই কেটেছে অপরিসীম দারিদ্র্যে। পিতৃবিয়োগের পর তিনি আরো অর্থকষ্টে পড়েন। অভিভাবকহীনতায় হয়ে ওঠেন কিছুটা উচ্ছৃঙ্খল, দিশেহারা। গ্রামের মক্তব থেকে নিম্ন প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন বর্ধমান জেলার একটি হাইস্কুলে। সেখান থেকে চলে যান ময়মনসিংহের দরিরামপুর হাইস্কুলে। কিন্তু এখানেও তিনি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারলেন না কিছুটা অর্থকষ্ট, কিছুটা ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে। এসময় তিনি যোগ দেন 'লেটো' দলে। পরে অবশ্য শিয়ারশোল হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা নির্বাচনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং এ পর্যন্তই ছিল তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।

বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে নজরুলের আবির্ভাব ঝড়ো হাওয়ার মতো। তিনি বাঙালির জীবনে জাগিয়েছিলেন নতুন জীবন তরঙ্গ। তেরো কি চোদ্দো বছর বয়সেই তিনি পদ্য রচনা, গীত রচনা আর পালাগান রচনা করে তাতে সুরারোপ করেন। চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। নজরুল হয়ে ওঠেন কবিয়াল-গাইয়ে। এই শক্তিই তাঁকে ভবিষ্যতে অসংখ্য সংগীত রচনায় সিদ্ধহস্ত করে তোলে। সংগীতে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তাঁর এ দক্ষতা আমাকে বরাবরই অবাক করে।

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে মাত্র আঠারো বছর বয়সে তিনি সৈনিক হিসেবে যোগ দেনসন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীদের সম্পর্কে তিনি স্কুলজীবনেই অবগত হন। সৈনিক জীবনে তিনি দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হন প্রচণ্ডভাবে। কবি ইংরেজদের হয়ে লড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ তাঁর মনটাকে বিষিয়ে দিল। তাঁর প্রথম যুগের কবিতা ও গানে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদ, বিরোধী চেতনা, আন্তর্জাতিকতা ও গভীর দেশপ্রেম। আর সৈনিক জীবনের যুদ্ধ ও বিপ্লব তাঁর লেখনীকে নতুন মাত্রা দেয়। এত অল্প বয়সে এমন গভীর জীবনবোধ আমাকে বিস্মিত করে।

দেশব্যাপী যখন পরাধীনতার অন্ধকার, সাম্রাজ্যবাদের সর্বগ্রাসী থাবা বিস্তৃত চারিদিকে, অসহযোগ আন্দোলনের জননেতারা বন্দি, তখন তিনি লিখলেন :

কারার ঐ লৌহকপাট

ভেঙে ফেল কররে লোপাট

রক্ত-জমাট শিকল-পূজার পাষাণ-বেদী।

বিদ্রোহী' কবিতায় বজ্রকণ্ঠে ঘোষিত হলো

আমি বেদুঈন, অমি চেঙ্গিস

আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ।

তারুণ্যের উন্মাদনায় কবি জরাগ্রস্ত পুরনো সংস্কার ভেঙে নতুন সংকল্পের কথা ব্যক্ত করেছেন এই কবিতায়। তাঁর অগ্নিবীণা’, ‘বিষের বাঁশি', 'ফণিমনসা', 'সর্বহারা' ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ যেন বিদ্রোহেরই জয়ধ্বনি ।

জীবনের গভীরে প্রোথিত বিশ্বাস থেকে তাঁর কবিতা পেয়েছে বক্তব্যের বলিষ্ঠতা, জীবনের দুঃখকষ্টের তীব্রতা আর অকপটতা। নজরুল তাঁর কবিতায় আর্ত-পীড়িতদের কথা বলেছেন। সর্বজীবে সাম্যভাব তাঁর রচনার মূল কথা। 'কুলি-মজুর' কবিতায় কবি বলেছেন :

দেখিনু সেদিন রেলে

কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে!

চোখ ফেটে এল জল,

এমনি করে জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল ?

নজরুলের কবিতার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, যা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক বিরোধ ও দাঙ্গার বিরুদ্ধে নজরুল তাঁর শক্তিশালী কলমকে হাতিয়ার করেন। তিনি লিখলেন, ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’, ‘পথের দিশা’, ‘হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধ' ইত্যাদি সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী কবিতা। তাঁর বলিষ্ঠ লেখনী থেকে বেরিয়ে এলো চিরন্তন সত্য

হিন্দু না ওরা মুসলিম ? ওই জিজ্ঞাসে কোনো্ জন ?

কাণ্ডারী, বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার!

জাত প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তাঁর কণ্ঠ হয়েছে সোচ্চার

জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াত খেলছ জুয়া!

ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয় তো মোয়া।

...   ...   ...   ...   ...   ....

মায়ের ছেলে সবাই সমান, তাঁর কাছে নাই আত্মপর !

বলতে পারিস বিশ্বপিতা ভগবানের কোন্ সে জাতি ?’

স্বদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রূপমুগ্ধ কবির লেখনীতে ফুটে উঠেছে

একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লি-জননী।

ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবণী।

দেশকে তিনি ভালোবেসেছেন অন্তর দিয়ে। কারাবরণ করেছেন, প্রচণ্ড অত্যাচার সহ্য করেছেন, তবুও জননী জন্মভূমির এতটুকু অসম্মানও সহ্য করেননি। তাই দেশের সেবায় আত্মত্যাগ করতে তিনি প্রস্তুত ছিলেন।

 

নারী ও পুরুষ তাঁর চোখে ছিল সমান, যা আজকের যুগেও অনেকে মেনে নিতে চান না। নারী-পুরুষের সাম্য নিয়ে তিনি

লিখেছেন :

সাম্যের গান গাই-

আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।

বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

বিদ্রোহী কবি, মানবতার কবি কখনো কখনো প্রেম-পিপাসু । এই প্রেম কবিকে পাওয়ার আনন্দে যেমন মশগুল করেছে তেমনি না-পাওয়ার বেদনায় করেছে বেদনাহত। বিরহী কবি লিখেছেন :

তোমারে বন্দনা করি

স্বপ্ন সহচরী

লো আমার অনাগত প্রিয়া,

আমার পাওয়ার বুকে না-পাওয়ার তৃষ্ণা জাগানিয়া।

তোমার বন্দনা করি .... 

হে আমার মানস-রঙ্গিণী

একটি কবিসত্তায় এত বিচিত্রতার সমাবেশ আমায় মুগ্ধ করেছে। আমার সবসময় মনে হয়, বাংলা সাহিত্যে নজরুলের অবদানের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। এই আর্ত-পীড়িত মানবতার কবি শেষ জীবনে প্রচণ্ড কষ্ট ভোগ করেছেন। তাঁর আর্থিক দৈন্য, স্ত্রী ও পুত্র-বিয়োগ তাঁকে বেদনায় মুহ্যমান করে তোলে। তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। ১৯৪১ সালে পিক্‌স্‌ ডিজিজ’-এ আক্রান্ত হলে তাঁর মস্তিষ্ক বিকল হয়ে । ১৯৪১ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত তিনি এভাবেই বেঁচে ছিলেন। ১৯৭৬-এর ২৯ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সে ঢাকার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন অসহায় শিশুর মতো। নইলে বাংলার সাহিত্যাঙ্গন আরো কত সমৃদ্ধ হতো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি লিখেছিলেন, 'মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য।' সত্যিই তো তাই। যে বিদ্রোহ করবে, সে-ই তো ভালোবাসবে। নজরুল পূর্ণতার স্বপ্ন-দেখা মানুষ। সত্য, কল্যাণ, সুন্দরের স্বপ্ন-দেখা মানুষ। তাই তিনিই আমার প্রিয় কবি। আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ   আমার প্রিয় কবি - প্রবন্ধ রচনা 

শিক্ষার্থীরা  আজকে আমরা জানলাম  আমার প্রিয় কবি - প্রবন্ধ রচনা সম্পর্কে  । যদি আজকের এই  আমার প্রিয় কবি - প্রবন্ধ রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD

কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলাম এর উক্তি,কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা,কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,কাজী নজরুল ইসলাম জন্ম ও মৃত্যু,বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী,কবি কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী,কাজী নজরুল ইসলাম বিখ্যাত কবিতা,কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা,কাজী নজরুল ইসলাম এর ছদ্মনাম কি,স্বাধীনতা কবিতা কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলামের ছদ্মনাম কি,কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্ম তারিখ,কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কবিতা,কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,কাজী নজরুল ইসলাম রচনা,কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf,কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস,কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে জন্মগ্রহণ করেন,কাজী নজরুল ইসলামের মতে কোনটি আমাদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়,কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি,কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ৫ টি বাক্য,কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম কি,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতা,আমার পথ কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ কয়টি,কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যু তারিখ,কাজী নজরুল ইসলাম প্রবন্ধ,কাজী নজরুল ইসলাম কবিতার নাম,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ২০২১-২০২২,কাজী নজরুল ইসলামের,কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমের কবিতা,কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচনা,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যা,কাজী নজরুল ইসলামের ছবি,কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী বাংলা,কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে বিয়ে করেন,কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী,প্রেমের কবিতা কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলাম এর ছোট গল্প,কাজী নজরুল ইসলামের ধর্মীয় কবিতা,কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান কোথায়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি,কাজী নজরুল ইসলাম ছবি,কাজী নজরুল ইসলামের বাণী,কাজী নজরুল ইসলাম এর উপন্যাস,কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা,কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ,কাজী নজরুল ইসলাম কৃষ্ণ মোহাম্মদ,কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী,কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম নিষিদ্ধকৃত গ্রন্থ কোনটি,কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যু,কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা,কাজী নজরুল ইসলাম কোন কবিতার জন্য জেলে যান,কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রেমের উক্তি,কাজী নজরুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত জীবনী,কাজী নজরুল ইসলাম উক্তি,কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কত সালে,কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা pdf,কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী pdf,কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন,কাজী নজরুল ইসলাম এর ভালোবাসার উক্তি,কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রেমের কবিতা,কাজী নজরুল ইসলামের কত তম জন্মদিন,কাজী নজরুল ইসলাম বাণী,কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন,কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,কাজী নজরুল ইসলাম উপন্যাস,কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা,কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্ম,কাজী নজরুল ইসলাম এর শিক্ষামূলক উক্তি,মানুষ কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম তারিখ,কাজী নজরুল ইসলামের মায়ের নাম কি,কাজী নজরুল ইসলাম এর বিদ্রোহী উক্তি,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,কবিতা কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা কত সালে জন্মগ্রহণ করেন,কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু তারিখ,কাজী নজরুল ইসলাম এর ছবি,কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা সমগ্র pdf,কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী,কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কয়টি,চন্দ্রবিন্দু কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলাম এর বিদ্রোহী কবিতা,কাজী নজরুল ইসলাম এর শিক্ষাগত যোগ্যতা,কাজী নজরুল ইসলাম এর কাব্যগ্রন্থ,বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ সমূহ,রচনা কাজী নজরুল ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলাম এর ছোট গল্প pdf,কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ,কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবন কাহিনী,কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রথম কবিতা,কাজী নজরুল ইসলাম কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন,কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ,,


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url