নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনা ক্লাস ৬,৭,৮,৯-১০

এই নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনাটি যেকোন ক্লাসের জন্য। যারা ক্লাস ৭ম শ্রেনীতে আছে তাদের জন্যও এই নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনাটি। আবার ক্লাস দশম শ্রেনীতে আছো তাদের জন্য এই নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনা। অর্থাৎ ক্লাস ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম দশম শ্রেনী পর্যন্ত সবার প্রযোজ্য এই নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনা। রচনাটি পড়ার আগে তোমরা অনুচ্ছেদ রচনালেখার নিয়ম ও সুচিপত্রটি দেখা নাও। 


 নারী শিক্ষা

মানব জীবনের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। পবিত্র ধর্মগ্রন্থেও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, প্রতিটি নর-নারীর জন্য শিক্ষা গ্রহণ করা একটি অবশ্য কর্তব্য। সুতরাং শিক্ষা কেবল পুরুষের জন্য নয়, নারীদের জন্যও জরুরি। নারী শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে নেপোলিয়ান বোনাপর্টের মন্তব্য আজও অবিস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেবো।” সন্তানের শিক্ষার সূচনা হয় মায়ের কাছ থেকে। সুতরাং মাকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে। নারী শিক্ষার সুযোগ না থাকলে মা শিক্ষিত হতে পারবে না। অনেক মনীষী নারীর সুষ্ঠু শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, বেগম রোকেয়া, হাজী মুহাম্মদ মহসিন প্রমুখ। বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষার জন্য গ্রামাঞ্চলে বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন, বেগম রোকেয়া বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, নিজেই করেছেন শিক্ষকতা। হাজী মুহাম্মদ মহসিন নিজের অর্থ সম্পদ দান করে গেছেন বাঙালি মুসলিম সমাজে শিক্ষা বিস্তাবের স্বার্থে। তা থেকে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রটি বাদ পড়েনি। নারী-পুরুষ মিলেই একটি সমাজ গড়ে ওঠে। খণ্ডিত নারীদের বাদ দিলে হয়ে পড়ে অসম্পূর্ণ। পুরুষ যতই শিক্ষিত হোক নারী অশিক্ষিতা থাকলে সেই সমাজ আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। আমাদের দেশে পুরুষ অপেক্ষা নারী শিক্ষার হার কম। পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে নারী শিক্ষার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। নারী শিক্ষিত হলে বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন বন্ধ হবে । সমাজ নির্মাণে তারা যথার্থ ভূমিকা পালন করতে পারবে।

নারী শিক্ষা

বিশ্বের প্রতিটি শিশু মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে চোখ খুলে পায় মা ও মাতৃভূমির প্রতিকৃতি । বড় হয় মা ও মাটির স্নেহে। প্রথম শিক্ষাগ্রহণ করে মায়ের কাছ থেকে। শিক্ষিত মা মানেই শিক্ষিত সন্তান। শিক্ষিত সন্তান মানে উন্নত নাগরিক, উন্নত জাতি। তাই একটি জাতির শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে বড় হয়ে ওঠার প্রথম শর্ত শিক্ষিত মায়ের আঁচলে থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা । তা ছাড়া নারী ও পুরুষ মানব সমাজের ভারসাম্য ও স্থিতির সমরূপ। তাই নারী ও পুরুষের পারস্পরিক সহযোগিতা হচ্ছে সমাজ সভ্যতার ক্রমবিকাশ। ফলে নারীকে পুরুষের সমান শিক্ষা সুযোগ না দিলে সে পিছিয়ে পড়বে। আর সভ্যতার বিকাশের গতি অনেকটা মন্থর হয়ে যাবে। তাই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কর্মের ক্ষেত্রে নারীর আসন কার্যকরি করা প্রয়োজন এবং তার পূর্বশর্ত নারী শিক্ষা। নারী উচ্চশিক্ষার ফলে আজ সমাজের উন্নয়নে অর্থনীতি, রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আজ নারীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাই নারী শিক্ষার প্রসার আজ সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অত্যাবশকীয়। নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেয়া উচিত।

১. নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,

২. প্রয়োজনীয় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যাতে শুধু নারী-মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারে,

৩. নারী নির্যাতন বন্ধ করা,

৪. মেয়েদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবার জন্য পৃথক পরিবহন,

৫. বয়স্ক নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা,

৬. শিক্ষা ব্যবস্থা অবৈতনিক ও বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা,

৭. শিক্ষাগ্রহণে নারীদের উৎসাহ দান করা,

৮. উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা।

সবশেষে বলা যায়, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” একথা মনে রেখে আমাদের স্বাধীন দেশে নারীকে উপযুক্ত মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে হবে। তবেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভবপর হবে।

নারীশিক্ষা

একটি জাতির উন্নতির প্রধান শর্ত হলো জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। শিক্ষা ছাড়া একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা আশা করা যায় না। মনুষ্যত্বের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর মা হলো সন্তানের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক। তাই জাতিকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হলে নারীশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ সত্যটি অনুধাবন করতে পেরেই নেপোলিয়ন বলেছিলেন— আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেব। নেপোলিয়নের এ চিরস্মরণীয় বাণীর উপযোগিতা আজ অনেক বেশি। কেননা আজও বিশ্বের নানা দেশে লক্ষ লক্ষ নারী শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত। ফলে সর্বত্রই তারা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। নিগৃহীত হচ্ছে অথচ মানব সমাজের অর্ধেকই হলো নারী। এ বিপুল জনগোষ্ঠী অশিক্ষার অন্ধকারে থাকায় জাতি পিছিয়ে পড়ছে, জনগোষ্ঠীর এ বিরাট অংশকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে না পারলে কখনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার অর্থাৎ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবশ্যই নারীদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকতে হবে। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, উন্নয়নের প্রধান উপকরণসমূহের একটি হলো নারীশিক্ষা। নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীশিক্ষার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেও আমরা দেখতে পাব যে, সেখানে নারীশিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বস্তরে তাদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে হবে। নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা উন্নত জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।

নারীশিক্ষা

 'আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেব’– নেপোলিয়ানের এই চিরস্মরণীয় কথার প্রতিধ্বনি আজও বিশ্বব্যাপী অনুরণিত হচ্ছে। কেননা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ নারী এখনো শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে সন্তানের প্রথম শিক্ষকই থেকে যাচ্ছে শিক্ষার অন্তরালে। উন্নত জাতি গঠনে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। সন্তান শিক্ষিত না হলে স্বাভাবিকভাবেই জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কেননা আজকের শিশুই তো আগামী দিনের কর্ণধার। ফলে একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার, সে দেশের উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এমনকি ব্যক্তিগত; উৎকর্ষের ক্ষেত্রেও নারীশিক্ষার প্রয়োজন। নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নারীশিক্ষা প্রসঙ্গে বলেছেন, 'নারীশিক্ষা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রধান উপকরণসমূহের মধ্যে অন্যতম।' তাই আজ সভ্যতার বিকাশে নারীশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সারাজীবন নারীশিক্ষার জন্য লেখালেখি করেছেন। কেননা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও হতে হবে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী । নচেৎ বাঙালি পুরুষ একাকি উন্নতির শিখরে আরোহন করতে পারবে না। আজ একবিংশ শতাব্দীর এই অগ্রগতির সময়েও আমাদের অধিকাংশ নারীই শিক্ষাবঞ্চিত ফলে নারীশিক্ষার অগ্রগতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করে নারীর শিক্ষা গ্রহণের পথকে সুগম করে দিতে হবে। বয়স্ক নারীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক করতে হবে। বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সহায়তা করতে হবে, ব্যবস্থা করতে হবে উপবৃত্তির। শুধু তাই নয়, নারীদের মানসিক জগতের নানা বিষয়-বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থা। সর্বোপরি, নারীশিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।


আর্টিকেলের শেষকথাঃ নারী শিক্ষা

শিক্ষার্থীরা  আজকে আমরা জানলাম নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে  । যদি আজকের এই নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনাটি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ । Search-Asked BD

নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ,অনুচ্ছেদ নারী শিক্ষা,নারীশিক্ষা অনুচ্ছেদ,অনুচ্ছেদ রচনা নারী শিক্ষা,নারী শিক্ষা রচনা,নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনা,রচনা নারী শিক্ষা,nari shiksha onucched bangla,নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ class 10,নারী শিক্ষার গুরুত্ব রচনা,,


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url